বাংলাদেশে এনজিও বিষয়ক ব্যুরো এর অধীনে রেজিস্টার্ড এনজিওর সংখ্যা প্রায় ৫০০০ এর উপরে। যদিও এখন পর্যন্ত (২৮/০৯/২০১৫) এনজিও ব্যুরো ওয়েবসাইট এ গেলে ২৪১৪টি এনজিওর নাম রেজিস্টার্ড থাকতে দেখা যায়। বাকিগুলো হয়তো বা বর্তমানে বিদেশী অনুদান পাচ্ছেনা নতুবা অন্য কোন কারণে এনজিও ব্যুরো রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়েছে। এ ছাড়া সমাজ সেবা অধিদপ্তর, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, জয়েন্ট স্টক কোম্পানি সব মিলিয়ে দেড় লক্ষাধিক এনজিও বাংলাদেশে কাজ করছে। অংকের হিসাবে প্রতি জেলায় ২০০০ এরও বেশি এনজিও কাজ করছে। তারপরেও বাংলাদেশে এত দারিদ্র কেন ? এনজিও করার আসল উদ্দেশ্য হলো যেভাবে পার নিজের পকেট ভারী কর। আমি ক্ষমা চাচ্ছি তাদের নিকট যারা দেশ সেবার মনোভাব নিয়ে এনজিও পরিচালনা করছেন। আসলে হাতে গোনা কয়েকটি এনজিও ছাড়া বেশিরভাগ এনজিওরা কোনো নিয়মের বালাই রাখেনা। আর এই হাতে গোনা (যাদের নিকট আমি বার বার ক্ষমা চাচ্ছি) এনজিওর সংখ্যা মোট এনজিওর ১০% এর বেশি হবে না। আমি অন্য একটি লেখায় লেখেছি Are the NGOs violating human rights? আপনারা কেউ চাইলে পড়ে দেখতে পারেন।
আপনি যদি আমার কথাটার সত্য মিথ্যা যাচাই করতে চান তাহলে আপনাকে বেশি দূর যেতে হবেনা। আপনার চোখ কান খোলা রাখলেই আপনি নিচের বিষয়গুলো দেখতে পাবেন। কোন কোন এনজিওর বয়স ১৫/২০ বছর, কিন্তু সেখানে জন্ম থেকেই একজন ব্যক্তি প্রধান নির্বাহী কিংবা নির্বাহী পরিচালক। অথচ এনজিও রেজিস্ট্রেশনের সময় গঠনতন্ত্র জমা দেয়া হয় যাতে লেখা থাকে ২/৩ বছর পর পর নির্বাচন হবে। হয় ঠিকই কিন্তু কাগজেপত্রে। তার মানে এনজিও গুলোতে গণতন্ত্রের চর্চা হয়না। এই এনজিও গুলি আবার গণতন্ত্র চর্চায় সরকারকে মনিটর করে, উপদেশ দেয়। নির্বাচন আসলে পর্যবেক্ষকের ভুমিকা পালন করে। রেজিস্ট্রেশন নেয়ার সময় একটি ঘোষণা পত্র জমা দেন যে, তাদের এক্সিকিউটিভ কমিটিতে কোন আত্মীয় নাই। অথচ আপনি এমন সব কমিটির খোঁজ পাবেন যেখানে বাপ চেয়ারম্যান হলে মেয়ে নির্বাহী পরিচালক, আপন ভাই বোন কমিটির মেম্বার। তার মানে এনজিওরা কোনো আইনের কেয়ার করে না। নাহলে তারা এগুলো করতে পারত না। তারপরেও ঘুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই এনজিওরাই সবচেয়ে বেশি সচেতন। আপনি আরো পড়তে পারেন, এনজিওর কোটিপতি পিওন!
কেউ যদি মনে করেন যে আমি কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে এনজিওদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছি; তাহলে আমি চ্যলেঞ্জ করছি আমি কমপক্ষে দশটি এনজিওর তথ্য দিব যেগুলোতে উপরের কোন না কোন তথ্যের মিল পাবেন। যদি না পান তাহলে আমি বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের ধারায় যেকোন মানহানি মামলার শাস্তি পেতে রাজি আছি। তবে এসমস্ত তথ্য যোগাড় করতে যথেষ্ট খরচের একটা ব্যাপার থাকে। তাই আমার পাঠকদের মধ্য থেকে কেউ চেলেঞ্জ করতে চাইলে আমি বিনীত অনুরোধ করব আমার neteller একাউন্ট (exp2opi@gmail.com) এ ২০০ us ডলার চেলেঞ্জ ফী জমা দিয়ে চেলেঞ্জ করুন। আমি গরিবের সাহায্য হবে, পাশাপাশি আমি আরো নতুন তথ্য বের করে আপনাদের সামনে হাজির করতে পারব।
আরো পড়তে পারেন SSC is equivalent to Masters Degree!
No comments:
Post a Comment